রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ক্ষতবিক্ষত হয়ে মারা যান। এমন আচরণের কী কারণ হতে পারে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার (১০ জুন) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার মূল মোটিভ কী এবং এ ধরনের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর কোনো গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক প্রশ্নই সামনে আসছে। এ ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এমন আচরণের কী কারণ হতে পারে।’
এ ঘটনায় ডিসি গুলশানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যের মতো ছিলেন কনস্টেবল মনিরুল এবং কাওসার। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎই সহকর্মী মনিরুলকে নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল কাওসার। গুলিতে মনিরুলের বুক ঝাঁজরা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ সময় হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে পাশে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন নামে আরেকজন আহত হন। তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।