লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে দু্ই শতাধিক রকেট ছুড়েছেন হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা।
বুধবার সকাল থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেটগুলো বৃস্টির মত বর্ষিত হতে থাকে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় টাইমস অব ইসরাইল, হারেৎজ, জেরুজালেম পোস্টসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।
ইসরাইলের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত ৮ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর চালানো এটি অন্যতম বড় রকেট হামলা।
এ বিষয়ে হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ সকাল থেকে গ্যালিলি এলাকায় ইসরাইলের ১১টি সামরিক অবস্থান, ঘাঁটি ও কারখানায় শতাধিক হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো ইসরাইলের টাইবেরিয়াস শহরে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বেশ কয়েকটি রকেট ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আয়রন ডোম ধ্বংস করলেও, অন্যগুলো বেশ কয়েকটি স্থানে আঘাত হেনেছে। রকেটগুলোর বিস্ফোরনে সাফাদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আগুন ধরে যায়।
এছাড়া ইসরাইলের মেরন স্ট্র্যাটেজিক এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল ঘাঁটি এবং ব্লাসান মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্ল্যান্টও গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কিছু রকেট গ্যালিলি এলাকার সাসা কিবুটজ-এ একটি সামরিক শিল্প কারখানায় আঘাত হেনেছে। এর ফলে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হিজবুল্লাহ রকেট হামলার ফলে অধিকৃত অঞ্চলের উত্তর সেক্টরের সাফেদ শহরেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননের টেলিভিশন চ্যানেল আল মানার জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর উচ্চ পদস্থ ফিল্ড কমান্ডারের সামি আবদুল্লাহ ওরফে আবু তালেব হত্যাকাণ্ডের পর, ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট, ড্রোন ও কামান দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।
হিজবুল্লাহর দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণে অবস্থিত জাওয়ায়া শহরের একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমান হামলায় সামি আবদুল্লাহসহ মোট চারজন নিহত হন।