নারী চা শ্রমিক উপলক্ষী ত্রিপুরা সর্বোচ্চ চা-পাতা চয়ন করে দেশে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। গত বছর (২০২২) সর্বোচ্চ ২৮ হাজার ৩৪৪ কেজি চা পাতা চয়ন করে তিনি জিতে নিয়েছেন জাতীয় চা পুরস্কার। তিনি দিনে গড়ে তুলেছেন ৭৭.৬৫ কেজি চা পাতা।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় অবস্থিত ইস্পাহানী গ্রুপের নেপচুন চা বাগানের স্থায়ী নারী চা শ্রমিক উপলক্ষী ত্রিপুরা। শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী ক্যাটাগরিতে জাতীয় চা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গত ৪ জুন রবিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তৃতীয় জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার গ্রহন করেন উপলক্ষী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি উপলক্ষীর হাতে জাতীয় চা পদক তুলে দেন।
জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে দেশের চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবছর প্রথমবারের মত চালুকৃত ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ বিতরণ করা হয়। পুবস্কার প্রাপ্তরা হলেন-(১) একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান- ভাড়াউড়া চা বাগান, শ্রীমঙ্গল (২) সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বাগান-মধুপুর চা বাগান, হবিগঞ্জ (৩) শ্রেষ্ঠ চা রপ্তানিকারক-আবুল খায়ের কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লি. (৪) শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী-মোঃ আনোয়ার সাদাত স¤্রাট (পঞ্চগড়) (৫) শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান-জেরিন চা বাগান, শ্রীমঙ্গল (৬) বৈচিত্র্যময় চা পণ্য বাজারজাতকরণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ কোম্পানি-কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট লি:, পঞ্চগড় (৭) দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা কোম্পানি-গ্রিন ফিল্ড টি ইন্ডাস্ট্রিজ লি:, ঠাকুরগাঁ (৮) শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী (চা শ্রমিক)- উপলক্ষী ত্রিপুরা, নেপচুন চা বাগান, চট্টগ্রাম।
প্রতিবছর ঢাকায় চা দিবসের অনুষ্ঠান করলেও এবছর চা শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট চা বাগান, মালিক-শ্রমিকসহ প্রত্যক্ষ অংশীজনদের নিয়ে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুনকে ‘জাতীয় চা দিবস’ ঘোষণা করা হয়।