ফরিদপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
জানা অজানার ভীরে দেশকে ভালভাবে দেখতে কার না মন চায়। আবার অনেকে নিজ দেশের চেয়ে ভিন্ন দেশের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠেন অনেক বেশি। সুযোগ আর সময় দুটোকে পুজিঁ করে অনেকে দেশের সান্নিধ্যে খোঁজ চালিয়ে যান নতুনত্বের। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় আপনি যদি দেশকেই ভালভাবে জানতে না পারেন তাহলে বিশ্বকে দেখার আগ্রহ পাবেন কিভাবে। তাই আমরা আজ জেনে নেব দেশের সর্বত্ত্বরের জেলা ফরিদপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
আপনারা যদি খুঁজে থাকেন ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, ফরিদপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ? , ফরিদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান, ফরিদপুর জেলার নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন।
ফরিদপুর জেলা হলো বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বাংলাদেশের ৪র্থ তম বৃহত্তম পৌরসভা ও দেশের ১৪তম বৃহত্তম শহর হলো ফরিদপুর। ফরিদপুর জেলা উত্তরে রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে গোপালগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মাগুরা ও নড়াইল জেলা এবং পূর্বে ঢাকা, মাদারীপুর জেলা ও মুন্সীগঞ্জ জেলা অবস্থিত। ফরিদপুর জেলার আয়তন ২০৭২.৭২ বর্গ কিলোমিটার। ফরিদপুর জেলায় সর্বমোট পৌরসভা ৬টি ও উপজেলা ৯টি।
আজকের আর্টিক্যালে আপনারা জানতে পারবেন ফরিদপুর জেলা সম্পর্কে আর ফরিদপুর জেলার বিখ্যাত কি কি রয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন । আর দেরি কেন? চলুন জেনে নেয়া যাক :
ফরিদপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ?
ফরিদপুর জেলা বিখ্যাত খাবার হলো খেজুরের গুড়। এছাড়া আরো রয়েছে পিঠা এবং পদ্মার ইলিশ। ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে খেজুরের গুড়কে কয়েক ধরনের তৈরি করা হয়। যেমন: ঝোলা গুড়, দানা গুড়, পাটালি, চিটাগুড় ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পিঠার জন্যই ফরিদপুর জেলা বিখ্যাত।ফরিদপুর জেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকারে সাথে সংযুক্ত। এই জেলারমাটি উর্বর হওয়ায় খেজুরের গাছ প্রচুর জন্মে।
ফরিদপুর জেলার নামকরণের ইতিহাস :
ফরিদপুর জেলার পূর্বনাম ছিল ফতেহাবাদ। প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে নামকরন করা হয় ফরিদপুর। ১৭৮৬ সালে ফরিদপুর জেলার প্রতিষ্ঠা হলেও তখনো এটির নাম ছিল জালালপুর। পরে ১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা জালালপুর হতে বিভক্ত হয়ে এটি ফরিদপুর জেলা নামে আখ্যাত করা হয়।
ফরিদপুর জেলার দর্শনীয় স্থান :
নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট : ফরিদপুর জেলা ১৯৭৭ সালে ঢাকায় নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্ম হয় যা ১৯৮৯ সালের ১লা জুলাই এটি ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলায় স্থানান্তর করা হয়। বাংলাদেশের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
ধলার মোড় (পদ্মার পাড়) : ফরিদপুর জেলা শহরের মানুষের অন্যতম বিনোদন স্পট তৈরি করা হয়েছে ধলার মোড় বা পদ্মার পাড়।
রাজেন্দ্র কলেজ (সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ) : ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ। দক্ষিণ বাংলার এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ।
পল্লি কবি জসীমউদ্দীনের বাসভবন : পল্লী জসীম উদ্দীন ১ জানুয়ারি ১৯০৩ সাল ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল : আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলায় অবস্থিত।
পদ্মা নদীর বালুচর, সি এন্ড বি ঘাট
শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন (হিন্দু মন্দির)
নন্দালয়, সিংপাড়া (হিন্দু মন্দির)
শেখ রাসেল শিশু পার্ক (বিনোদনকেন্দ্র)
কাঠিয়া কালীবাড়ি, তালমা মোড় (হিন্দু মন্দির)
তালমা মোড় (গোরুর খামার)
অম্বিকা ময়দান
ফরিদপুর জেলা জজ কোর্ট ভবন
হাসামদিয়া পার্ক,বোয়ালমারী
কাটাগড় দেওয়ান শাগীর শাহ্ মাজার শরীফ, বোয়ালমারী
মীরগঞ্জ নীল কুঠি,আলফাডাঙ্গা
ভাসমান টিটা ব্রিজ,আলফাডাঙ্গা
কালিনগর, কালিবাড়ী(কালি মন্দির), বোয়ালমারী
বনমালদিয়া, মধুখালী
ফরিদপুর চিনিকল,মধুখালী
কামারখালী গড়াই সেতু, মধুখালী
মান্দারতলা রেলসেতু, মধুখালী
বাইশ রশি জমিদার বাড়ি
নদেরচাঁদ বাওঁড় অ্যান্ড পিকনিক স্পট
সালথা, ভাবুকদিয়া, হরিবিল-চাপাবিল + হাজী হাতেম মোল্লার বাডী।
এ.সি.রোড সাদীপুর,ফরিদপুর।
ফরিদপুরের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব সমূহ :
আবদুল খালেক – অবিভক্ত ভারতবর্ষের কংগ্রেস নেতা, ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
অম্বিকাচরণ মজুমদার – সাবেক সভাপতি, জাতীয় কংগ্রেস।
আবদুল হক ফরিদী শিক্ষাবিদ
আছাদুজ্জামান মিয়া
আ. ন. ম. বজলুর রশীদ
ঈশানচন্দ্র সরকার
কানাইলাল শীল:সংগীতবিদ।
খন্দকার নাজমুল হুদা
খান বাহাদুর আবদুল গফুর নাসসাখ
পরিমল গোস্বামী
মেজবা রহমান -সাংবাদিক
জাহানারা আহমেদ
নুরুল মোমেন নাট্যকার
সুফিয়া আহমেদ
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য:বিপ্লবী
এম এ হক (কবি) – সাহিত্যিক।
এ. এফ. সালাহ্উদ্দীন আহমদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – বাংলাদেশের জাতির জনক;[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন]
শেখ হাসিনা – বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন]
হাজী শরীয়তুল্লাহ – ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা;
মুন্সি আব্দুর রউফ – বীরশ্রেষ্ঠ;
চিত্তপ্রিয় রায়চৌধুরী, বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতাকামী শহিদ
আবু ইসহাক – বিখ্যাত সাহিত্যিক।
সিরাজ শিকদার – নক্সাল আন্দোলনকারী নেতা।
অমিতাভ দাশগুপ্ত – কবি
আহসান উল্লাহ – সমাজসেবক
মোহাম্মদ ইব্রাহিম (বিচারপতি)
নবাব আবদুল লতীফ সমাজ সংস্কারক
আলাওল – মধ্যযুগের কবি;
জসীম উদ্দিন – পল্লিকবি;
কুটি মনসুর:গীতিকার
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
শৈলেশ দে
সৈয়দ আব্দুর রব:সাংবাদিক।
রামতারণ সান্যাল
হিমানীশ গোস্বামী:লেখক
শোভা সেন:অভিনেত্রী
শামসুদ্দীন মোল্লা
বনলতা সেন (চক্রবর্তী)
সুরেশচন্দ্র দে – স্বাধীনতা সংগ্রামী, অধ্যাপক
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় – ঔপন্যাসিক, কবি;
নরেন্দ্রনাথ মিত্র – ঔপন্যাসিক;
হুমায়ুন কবির – শিক্ষাবিদ;
তারেক মাসুদ – চলচ্চিত্রকার;
কে এম সোবহান
চম্পা চিত্রনায়িকা।
সুচন্দা চিত্রনায়িকা
ফরিদা আনোয়ার
মোহিনী চৌধুরী – গীতিকার ও চিত্র পরিচালক
বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় – সাংবাদিক,
রবীন্দ্রনাথ মৈত্র – বাঙালি সাহিত্যিক
যতীন্দ্রমোহন সিংহ – বাঙালি ঔপন্যাসিক
রাধাবল্লভ গোপ, স্বাধীনতা সংগ্রামী
পদ্মভূষণ প্রাপ্ত
অঞ্জু ঘোষ বেদের মেয়ে জোসনা খ্যাত অভিনেত্রী।
রিয়াজ চিত্রনায়ক।
ফণী মজুমদার:চিত্র পরিচালক
অমল বোস নানা নাতি চরিত্রখ্যাত অভিনেতা।
ফজলুর রহমান বাবু অভিনেতা।
পাওলি দাম চিত্রনায়িকা।
আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল ফরিদপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ? আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। আমাদের সাথে থাকুন আর চোখ রাখুন নিউসিজন২৪.কম।আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।