সৈয়দপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
আপনি এই পোষ্টে জানতে পারবেন জেলা নয় উপজেলা সম্পর্কে তাই আর দেরি কেন সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। আমাদের আজকের মূল বিষয় হলো সৈয়দপুর উপজেলা কিসের জন্য বিখ্যাত? আপনি এই পোষ্টে জানতে পারবেন সৈয়দপুর উপজেলা নামকরণ, সৈয়দপুর উপজেলা ইতিহাস, সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা, সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনিক ব্যবস্থা, সৈয়দপুর উপজেলা জনসংখ্যা ও সৈয়দপুর উপজেলা অর্থনীতি নিয়ে সঠিক জায়গায় এসেছেন।
বাংলাদেশে সর্বমোট ৮টি বিভাগের অন্তর্গত ৬৪টি জেলায় মোট ৪৯৫ টি উপজেলা রয়েছে, তার-ই মধ্যে এক অন্যতম উপজেলা হলো সৈয়দপুর উপজেলা। সৈয়দপুর উপজেলা রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
সৈয়দপুর উপজেলার পূর্বে কিশোরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ, উত্তরে নীলফামারী সদর উপজেলা, পশ্চিমে খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলা এবং দক্ষিণে পার্বতীপুর উপজেলা অবস্থিত। সৈয়দপুর উপজেলা আয়তন ১২১.৬৮ বর্গ কিলোমিটার। সৈয়দপুর উপজেলা ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।
কামারপুকুর ইউনিয়ন, কাশিরাম বেল পুকুর ইউনিয়ন, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন, বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন ও
খাতামধুপুর ইউনিয়ন। সৈয়দপুর উপজেলায় ১টি পৌরসভা তা হলো সৈয়দপুর পৌরসভা।
আজকের আর্টিক্যালে আপনারা জানতে পারবেন সৈয়দপুর উপজেলা সম্পর্কে আর সৈয়দপুর উপজেলার বিখ্যাত কি কি রয়েছে সেগুলো জানতে পারবেন। তবে আর দেরি কেন? চলুন জেনে নেয়া যাক : সৈয়দপুর উপজেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
সৈয়দপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসিদ্ধ সৈয়দপুর উপজেলা। সৈয়দপুর পৌরসভাতে একটি অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর রয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা, দুটি গির্জা, চিনি মসজিদ, ইউরোপিয়ান ক্লাবসহ আরো অনেক কিছুই দেখার আছে সৈয়দপুরে। কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, বাঁশের কাজ। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৪০টি, মন্দির ৩৭টি, গির্জা ২টি । উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: ইসলামবাগ চিনি মসজিদ, সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মিস্ত্রিপাড়া শিবমন্দির ও কালী মন্দির, সৈয়দপুর গির্জা, ক্রাইষ্ট চার্চ অব বাংলাদেশ।
সৈয়দপুর উপজেলার নামকরণ
সৈয়দপুর উপজেলার নামকরণ বিষয়ে বহুজনশ্রুতি ও নানা ধরনের মতামত রয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলার নামকরণের ইতিহাস তেমন একটা জানা যাইনি। তবে ভারকতের কুচ বিহার থেকে আসা মুসলিম সাইয়্যেদ পরিবার প্রথমেই এ অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। সাইয়্যেদ পরিবাবের আসার কারনে এই প্রথম দিকে সাইয়্যেদপুর পরে সৈয়দপুর নামকরণ করা হয়।
সৈয়দপুর উপজেলার ইতিহাস
সৈয়দপুরের অতীতের ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোন কিছু জানা যায় নি। ১৮৭০ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপের কাছাকাছি সৈয়দপুর শহরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
পূর্বে এটি কামরুপ রাজ্যের অধীন ছিল। ঐ সময় সৈয়দপুরে বিহারীদের আগমন হয়। ১৯১৫ সালে রেলওয়ে স্টেশনের পাশে সৈয়দপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৮ সালে সৈয়দপুর পৌরসভা গঠিত হয়।
১৯৭১ সালে ২৩ মার্চ বিহারিগণ বাঙ্গালিদের উপর হামলা চালায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, তখন কয়েকজন বাঙালি নিহত হন।
সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষাব্যবস্থা
সৈয়দপুরকে নীলফমারী জেলার শিক্ষার শহরও বলা হয়। সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, যা ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যা সৈয়দপুরের সবচেয়ে প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এখানে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো : সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ, সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, সৈয়দপুর বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সৈয়দপুর আল-ফারুক একাডেমি,সৈয়দপুর,সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর লক্ষনপুর স্কুল এন্ড কলেজ।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসনিক ব্যবস্থা
সৈয়দপুর উপজেলা শহর ১৫টি প্রশাসনিক ওয়ার্ড বিশিষ্ট্য ও একটি পৌরসভা এবং বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন দ্বারা শাসিত । ১৯৫৮ সালে সৈয়দপুর পৌরসভা গঠন করা হয় , এখানকার পৌর প্রধানের পদবি হল মেয়র, তিনি পাঁচ বছরের জন্য সরাসরি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হন। এটি নীলফামারী-৪ জেলার সংসদীয় আসনের আওতাভুক্ত।
সৈয়দপুর উপজেলা অর্থনীতি ব্যবস্থা
সৈয়দপুর উপজেলা অধিকাংশই অধিবাসীরা ব্যবসায়ী। এই উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প কারখানায় শ্রমিক ও কারিগর বটে। সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষদের প্রধান পেশা হলো কৃষি। আর এই উৎপন্ন ফসলের মধ্যে আমন ও বোরো ধান ছাড়াও আলু , গম ও অন্যান্য সবজিই প্রধান। সৈয়দপুর উপজেলার সদরদপ্তর ও নীলফামারী জেলার প্রধান বাণিজ্যিক শহর। যা বলা যায় প্রথমে রংপুর শহর,দ্বিতীয় দিনাজপুর শহর ও তৃতীয় হলো সৈয়দপুর শহর।
সৈয়দপুর উপজেলা জনসংখ্যা
সৈয়দপুর উপজেলা জনসংখ্যা দিক থেকে সর্বমোট ২,৬৪,৪৬১ জন। তার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা হলো ১,৩৩,৭৩৭ জন ও নারীর সংখ্যা হলো ১,৩০,৭২৪ জন।
আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল সৈয়দপুর উপজেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ?
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে। আর এই রকম আর্টিকেলে জন্য চোখ রাখুন নিউসিজন২৪.কম। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।