বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের ফলাফলের উন্নতির জন্য ৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটানো হবে। একই সাথে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক শিক্ষার স্তরে যাতে সহজে প্রবেশ করতে পারে এবং ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনতে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার।
আজ (শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় শুক্রবার বাংলাদেশের জন্য এ অর্থের অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড। মাধ্যমিক শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ (এলএআইএসই) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে এ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান কার্যালয়ের প্রধান আবদোলায়ে সেক বলেছেন, নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতা আনয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু কোভিডকালে দীর্ঘ মেয়াদে স্কুল বন্ধ থাকায় অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েশিশুদের বিরাট অংশ স্কুল ছেড়েই দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সববময় পাশে থাকবে।
এছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে, সুদবিহীন ও স্বল্প শর্তে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৫৬টি প্রকল্প চালু রয়েছে বাংলাদেশের এখনও , যার অর্থের পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার।