বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পের বিকাশ ও রফতানি আয় বাড়ানোর পথে চারটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
আজ (শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ কনফারেন্স হলে ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক খাত ও করণীয় বিষয়ক এক সেমিনারে এসব বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন, প্লাস্টিক শিল্পের উন্নয়নে চারটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে ব্যবসায়ীদের। এরমধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা, পুরান ঢাকার মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং, রফতানি লক্ষ্য নির্ধারণ এবং কারখানাগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা।
এই ৪ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করলে বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্প আগামীতে আরএমজি খাতের দ্বিতীয় অবস্থান নিশ্চিত করবে বলে মনে করেন এই গবেষক।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পুরান ঢাকা থেকে প্লাস্টিক করাখানা সরাতে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। সরকার এসব কারখানা ভাঙছেও না, স্থানান্তরেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করছে।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের আলাদা বিভাগ করা প্রয়োজন। শ্রম অধিদফতর এসব অনিয়ম ভালোভাবে দেখভাল করতে পারছে না।
উল্লেখ্য, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ২৩০ মিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করেছে। বর্তমানে দেশে প্লাস্টিক খাতে রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি কারখানা। কিন্তু অধিকাংশ কারখানাই আইন মেনে পরিচালিত হচ্ছে না। এ কারণে প্রায়শই বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও কর্মীরা।