হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২টি উড়োজাহাজ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা এসব উড়োজাহাজের মালিক বেসরকারি কয়েকটি এয়ারলাইন্স। সংস্থাগুলো এখন বন্ধ।
পরিত্যক্ত এসব উড়োজাহাজ সরিয়ে নিতে বেবিচক থেকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হলেও সংস্থাগুলো থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। এ কারণে রোববার একটি বিজ্ঞপ্তিতে উড়োজাহাজগুলো বাজেয়াপ্ত করার তথ্য জানায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এখন নিলামের প্রস্তুতি চলছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উড়োজাহাজসহ আনুষঙ্গিক গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টস পার্কিং এরিয়াতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় আনুমানিক ১ লাখ ৯২ হাজার ১০০ স্কয়ার ফুট জায়গা দখল করে রেখেছে। এতে করে দৈনিক বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক আয় ও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বেবিচক। এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অব্যবহৃত উড়োজাহাজগুলো অপসারণে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স, মর্টগেজকৃত ব্যাংক শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠি অনুসারে ৩০ দিনের মধ্যে সংস্থাগুলো উড়োজাহাজ অপসারণ করে বেবিচককে লিখিতভাবে অবহিত করতে ব্যর্থ হয়।
বেবিচক কর্মকর্তারা বলেন, বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গোর সামনে এপ্রোনে দীর্ঘদিন ধরে ১২টি উড়োজাহাজ ও আনুষঙ্গিক পণ্য পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এসব উড়োজাহাজের পার্কিং ও সারচার্জ বাবদ বকেয়া রয়েছে ৮০০ কোটি টাকার বেশি। বিমানবন্দর উড়োজাহাজগুলো সরানো হলে যে জায়গা ফাঁকা হবে, সেখানে কমপক্ষে ৭টি উড়োজাহাজ পার্ক করা যাবে।
পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮টি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দুটি, জিএমজি এয়ারলাইন্সের একটি ও অ্যাঞ্চেল এয়ারওয়েজের একটি রয়েছে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরে পড়ে থাকা উড়োজাহাজগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উড়োজাহাজগুলো এখন নিলামের প্রস্তুতি চলছে।