টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে শপথ নেবেন গুরুত্বপূর্ণ আরও ৩০ জন মন্ত্রী। দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় তাদের শপথ পাঠ করাবেন প্রেসিডেন্ট দ্রোপদী মুর্মু।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এবারের মন্ত্রিপরিষদের আকার হতে পারে ৭৮ থেকে ৮১ জনের। তবে সবাই আজ (রোববার) শপথ নেবেন না।
চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ঘোষণা করেছে, তাদের দুই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) রাম মোহন নাইডু এবং চন্দ্র শেখর পেমমাসানি রোববার মোদির সঙ্গে শপথ নেবেন।
এছাড়া দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আজ সন্ধ্যায় মোদির সঙ্গে শপথ নিতে যাওয়া অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গাদকারি, রাজনাথ সিং, পীযূষ গয়াল ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং জনতা দল-সেকুলার সভাপতি এইচডি কুমারস্বামী, হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
এছাড়াও শপথ নেবেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, লোক জনশক্তি পার্টির (রাম বিলাস) নেতা চিরাগ পাসওয়ান, জেডি-এস এমপি রাম নাথ ঠাকুর, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা প্রধান জিতন রাম মাঞ্জি, রাজ্যসভার সদস্য জয়ন্ত চৌধুরী, আপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেল (সোনেলাল), টিডিপির রামমোহন নাইডু ও শিবসেনার প্রতাপ রাও যাদব। শপথ নেবেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী রক্ষা খাডসেসহ আরও অনেকে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সামনে রেখে নয়াদিল্লিতে রোববার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি চা-চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল। যারা আজ শপথ নেবেন তাদের এই চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
শপথ অনুষ্ঠানে এনডিএ জোটের বেশ কয়েকজন শরিক উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর মতো রাষ্ট্রনেতারাও উপস্থিত থাকবেন। এরইমধ্যে তারা দিল্লিতে পৌঁছেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ২৪০টি আসন। তবে এনডিএ জোটের সঙ্গে মিলে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৩টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সাত দফায় ভোটগ্রহণের পর গত ৪ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস