যশোরের বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালত শার্শা ও বেনাপোল পুলিশের দেওয়া মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক নাশকতা মামলায় শার্শা ও বেনাপোল পৌর বিএনপি’র ৫৫ জন নেতা কর্মিকে মামলার পুলিশ রিপোর্ট না হওয়া পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছেন ।
জামিন প্রাপ্ত বেনাপোল পৌর বিএনপি’র সভাপতি নাজিম উদ্দিন বলেন, মহামান্য হাইকোট বিভাগের দেওয়া ৬ সপ্তাহের জামিন মেয়াদ শেষ হলে আজ ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে পুনরায় জামিন আবেদন করলে পুলিশ রিপোর্ট না হওয়া পর্যন্ত সময়কাল জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কোন ঘটনা ছাড়াই ৬৬ জন নেতা কর্মির নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক নাশকতা ও গায়েবি মামলা দায়ের করেন। সে সময় ৪ জন নেতা কর্মিকে আটক করেন পুলিশ। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক নাশকতা ও গায়েবি মামলায় অজ্ঞাত আসামী করে আরও ২শ জননেতা কর্মির নামে। মামলায় শার্শা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৪ জনের নামে ও বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ৪২ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাত আসামী করেন আরও ২শ জনের নামে।
আসামী পক্ষে আইন জীবী হিসেবে ছিলেন এ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও এ্যাড মোস্তফা কামাল মিন্টু।
এ সময় খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোর , শার্শা ও বেনাপোলের বিএনপিসহ অংগ সংগঠনের অনেক নেতা কর্মি যশোর আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন। জামিন প্রাপ্ত নেতা কর্মিরা শার্শা ও বেনাপোল পৌর বিএনপির পক্ষ থেকে খুলনা বিভাগীয় (ভারপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
মামলায় জামিনপ্রাপ্ত উল্লেখ যোগ্য আসামীরা হলেন শার্শা উপজেলা বিএনপি’ আহবায়ক খায়রুজ্জামান মধু , শার্শা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসান জহির, বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহ সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, বেনাপোল পৌর বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মিলন , সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাবুদ্দিন, বেনাপোল পৌর কাউন্সিলর আব্দুল আহাদ ও শার্শা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদা।