শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে ব্যবহারের পানির অভাব। ভয়াবহ এ পানির সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিমান ধোয়ামোছার দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যক্রম।
পানির অভাবে রুটিন অনুযায়ি উড়োজাহাজ পরিষ্কার করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা দিয়েছে বিমানের মূল্যবান যন্ত্রাংশের ক্ষতির আশঙ্কা।
বিমানের একেকটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজের দাম ১২শ কোটি টাকার বেশি। তাই এর রক্ষনাবেক্ষনেও থাকতে হয় পারদর্শী। এসব উড়োজাহাজের ইঞ্জিনগুলোকে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রয়োজন হয়। বিমান ধোয়ামোছা তো দূরের কথা, পানির অভাবে হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৌচাগার ব্যবহারসহ স্বাভাবিক কার্যক্রমও প্রায় ব্যাহত হচ্ছে।
পানির অভাবে দেশির পাশাপাশি বিদেশি উড়োজাহাজ পরিষ্কার করতে না পারায় দেশের ভাবমূর্তি বিদেশিদের কাছে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
তারা বলেন , বিদেশি উড়োজাহাজগুলো এসব কাজের জন্য বিমানকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছে। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো সেবা দিতে না এ লাভের হিস্সা গোনা এখন প্রায় অসম্ভব হয়েই দাড়াবে।।
বিমানের জনসংযোগ ম্যানেজার (জিএম) তাহেরা খন্দকার বলেন, দীর্ঘদিন হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে পানি সংকট চলছে। এ ব্যাপারে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও সমাধান না হওয়ার কারণে বিমানের পরিছন্নতা থেকে শুরু করে নানান সমস্যা তৈরি হচ্ছে।