দেশের রাজনীতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি সরকার পরিচালনায়ও রয়েছে ভূমিকা। চাচা স্পিকার, বাবা একাধিকবারের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। মির্জা ফখরুল নিজেও মন্ত্রী, এমপি ছিলেন। তার বড় মেয়ে মির্জা সামারুহরও রাজনীতি নিয়ে রয়েছে বেশ আগ্রহ। পারিবারিক উত্তরাধিকারসূত্রে আসতেই পারেন রাজনীতিতে। রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন আলোচনার ঝড়ও রয়েছে। তবে রাজনীতিতে তিনি কবে সম্পৃক্ত হবেন, তা এখনো পরিষ্কার জানা যায়নি। সামারুহ রাজনীতিতে এলে আপত্তি থাকবে না বাবা ফখরুলের, বরং তিনি খুশিই হবেন, এমনটাই জানিয়েছেন।
মির্জা সামারুহ সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থাকলেও রাজনীতিতে সচেতন। খোঁজখবর রাখেন রাজনীতির। এটাই শেষ নয়, বিএনপির চরম দুঃসময়ে দেশে দলটির রাজনীতিতে বর্তমানে সিপাহসালার ভূমিকায় থাকা বারবার কারানির্যাতিত মির্জা ফখরুলকে মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন মেয়ে সামারুহ। বলতে গেলে মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা তার কাছ থেকেই আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে রাজনীতিতে এবং দেশের মানুষের জন্য মির্জা ফখরুলের ত্যাগ স্বীকারের বিষয়টি তুলে ধরেন সামারুহ। বাবা কোনো কারণে মন খারাপ করলে, মোবাইল ফোনে খুদেবার্তা পাঠান তিনি, যা রাজনীতিবিদ বাবাকে এগিয়ে চলার শক্তি ও সাহস জোগায়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল কয়েক বছর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় জানান, ‘দুঃসময়ে সবার আগে সাহস পান বড় মেয়ে মির্জা সামারুহের কাছ থেকে। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে রাজনীতিবিদ বাবাকে এগিয়ে চলার শক্তি ও সাহস জোগান মির্জা সামারুহ।’
এদিকে মির্জা ফখরুলের পরিবার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে বড় মেয়ে সামারুহ রাজনীতিতে এলে সেটা দেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।