ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবীর শীতলতম স্থান আন্টার্কটিকা! ‘নেচার’ পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য থেকে যা জানা যাচ্ছে, তা হল, আন্টার্কটিকার গ্লেসিয়ার গলছে। আন্টার্কটিকার এই গ্লেসিয়ারটির নাম থয়েটস, যাকে ডুমসডে গ্লেসিয়ারও বলে। এর আকার প্রায় ফ্লোরিডার মতো। এটি গললে পৃথিবী জুড়ে সমুদ্রজলের স্তর বাড়বে প্রায় ৩ মিটার বা ৯.৮ ফুট! যা পৃথিবীর অস্তিত্বের পক্ষে খুবই ভয়ংকর।
আন্টার্কটিকার গ্লেসিয়ার গলছে। আন্টার্কটিকার যে-গ্লেসিয়ারটি গলছে, তার নাম থয়েটস, যাকে ডুমসডে গ্লেসিয়ারও বলে। এর আকার প্রায় ফ্লোরিডার মতো। এটি গললে পৃথিবী জুড়ে সমুদ্রজলের স্তর বাড়বে প্রায় ৩ মিটার বা ৯.৮ ফুট! যা পৃথিবীর অস্তিত্বের পক্ষে খুবই ভয়ংকর।
আন্টার্কটিকা মানেই ধবধবে সাদা বরফ। একটা গোটা মহাদেশে বরফ ছাড়া কিছুই নেই। পৃথিবীর দক্ষিণের এই মহাদেশের চারদিকে সাদা তুষারের চাদরে। আগে আন্টার্কটিকায় এত বরফ ছিল না। তখন এখানকার আবহাওয়া ছিল বাসযোগ্য। সসময়ে সবুজে ঢাকা ছিল আন্টার্কটিকা। আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বছর আগে পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ প্যানজিয়া নামক একটি বিরাট ভূখণ্ডের অন্তর্গত ছিল। এক সময় সেটি ভেঙে যায় দু’টি ভূখণ্ডে— লরেশিয়া ও গন্ডোয়ানাল্যান্ডে। আন্টার্কটিকা ছিল গন্ডোয়ানাল্যান্ডেরই অংশ।
তখন আন্টার্কটিকা অবস্থান করত বিষুবরেখার কাছে। এর আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ ছিল। গড় তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেসময় আন্টার্কটিকায় সমুদ্রের তীরে দেখা মিলত পাম গাছের সারির। পরে জলবায়ু তুলনামূলক শীতল হতে থাকলে অস্ট্রেলিয়ার পাশ থেকে ভেঙে যেতে শুরু করে আন্টার্কটিকা। একসময় চারপাশে সমুদ্রবেষ্টিত হয়ে পড়ে এই মহাদেশ। তখনই ধীরে ধীরে বরফ জমতে শুরু করে এই ভূখণ্ডে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আন্টার্কটিকায় প্রথম বরফ জমা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি বছর আগে। তাপমাত্রা কমে যায় প্রায় ১৫ ডিগ্রি। এর সঙ্গে শুরু হয় মেরুঝড়ের। পৃথিবীর দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় কুমেরু অঞ্চলে প্রায় টানা ৬ মাস দেখা মেলে না সূর্যের আলোর।
সূত্র-জি ২৪ ঘণ্টা