প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বৃহৎ শক্তির সামনে সাহসী ঊচ্চারণ, বললেন বিশ্লেষকরা

জাতীয় লীড

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ বৃহৎ শক্তির সামনে সাহসী ঊচ্চারণ হিসেবে দেখছেন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কথা বলেননি শেখ হাসিনা। বরং তার ভাষণে ফুটে উঠেছে বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের শোষণ ও বৈষম্য আর মুক্তির কথা। তার কথা পশ্চিমা শক্তি নানাভাবে রাজনৈতিক চাপ তৈরির যে চেষ্টা করছে সে বিষয়টিও উঠে এসেছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে পর সময় সংবাদকে এসব কথা জানান তারা।

সাধারণ পরিষদে সময়ের হিসেবে মাত্র চৌদ্দ মিনিটের ভাষণ ছিল শেখ হাসিনার। মায়ের ভাষা বাংলায় একের পর দৃঢ় চিত্তের ঊচ্চারণ ছিল সেই ভাষণে। যেখানে বাদ পড়েনি যুদ্ধ-বিগ্রহ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক টানাপোড়েনসহ কোনো কিছুই। উঠে এসেছে, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক চালু, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা, সন্ত্রাসবাদ দমনসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার কিছু পরে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ভাষণকে, বৃহৎ শক্তির সামনে বজ্রকঠিন দৃঢ়তা ও সাহসী ঊচ্চারণ হিসেবে দেখছেন কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বৈশ্বিক এ ফোরামে শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কথা বলেননি শেখ হাসিনা বরং তার ভাষণে ফুটে উঠেছে সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের শোষণ, বৈষম্য আর মুক্তির কথা।

সাবেক কূটনৈতিক ওয়ালিউর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, আমাদের ওপরে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, এখনও দেখাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেছেন, এটার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সারা পৃথিবীতেই। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে।

সাবেক কূটনৈতিক এম হুমায়ন কবির বলেন, জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত ৪টি ডকুমেন্টে আমরা কিন্তু শরিক সবাই। আমরা ওই এটাকে চ্যালেঞ্জ বা প্রতিদ্বন্দ্বির জায়গাতে না দেখে, এখানে সহযোগিতার জায়গাটা আবিস্কার করাটা বোধহয় আমাদের জন্য ‍উপাদেয় হবে।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দৃঢ়তার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি উঠে আসে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাও।

তবে বিশ্লেষকরা জানান, এরপরেও পশ্চিমা শক্তি নানাভাবে ক্ষমতার অপব্যহার করে রাজনৈতিক চাপ তৈরির চেষ্টা করলেও তাদের সফল হওয়ার সুযোগ নেই।

সাবেক কূটনৈতিক ওয়ালিউর রহমান আরও বলেন, যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে; বিভিন্ন জায়গাতে বসে পশ্চিমবিশ্বে, তাদের কাছে কথাগুলো যাক। ঠিক আছে, একটা ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। সেখানে আমি মনে করি যে- না এগুলো বুমেরাং করবে না।

নানা অভিযোগ আর নিষেধাজ্ঞার হুমকি-ধামকির মাঝেও সংবিধান মেনে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যাবে প্রধামন্ত্রীর এমন সাহসী ঊচ্চারণকে সাধুবাদ জানিয়ছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *