জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নীত হলেও বেড়েছে জনদুর্ভোগ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার পানি কমে ৮৩ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।
পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ছাত্রী উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলায় ৬ হাজার ৮শ ৭২ হেক্টর জমি ফসল আখ পাট কাঁচা তরে তরকারি বীজতলা বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর জেলার কৃষি উপ পরিচালক জাকেয়া সুলতানা। সারা জেলায় প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যার্তদের সূত্র খাবারের পাশাপাশি গো খাদ্যের চরম শংকর দেখা দিয়েছে।
ইসলামপুরের চিনাডুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, রাস্তাগুলো তলিয়ে গিয়েছে। ভানবাসী মানুষ খুব কষ্টে দিন যাপন করছে।
ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ ধারন করায় উপজেলার ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫০টি মাধ্যমিক ও ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। বন্যার্ত যে জন্য এ উপজেলায় ১২০ মে.টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এদিকে গতকাল রবিবার ৭ জুলাই, ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ন ফরিদুল হক খান দুলাল বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কয়েকশ পরিবার গবাদি পশু নিয়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। দুর্গতদের জন্য ৩শ মেট্টিক টন
চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, গঠন করা হয়েছে ১১টি মেডিকেল টিম।