পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক-সাংগ্রাই-বিজু-বিহু উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী বৈসাবি উৎসব শুরু হয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে।
আজ শুত্রুবার সকাল ১০টার সময়ে স্হানীয় তরুন তরুনীরা নিজ নিজ সম্প্রদায়ের পোষাক পড়ে অংশগ্রহন করেন উদ্বোধনী অনুষ্টানে।
পরে সেখানে ফিতা কেটে ৫দিন ব্যাপি আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করেন ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সুমিতা চাকমা এরপর উপস্থিত অতিথিরা বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধন করেন সুমিতা চাকমা।
উদ্বোধনের পর স্হানীয় নৃত্য শিপ্লীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ পাহাড়ি নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
আলোচনা সভায় সাধন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সুমিতা চাকমা সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সাজেক ইউপি এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবু নেলসন চাকমা সাবেক চেয়ারম্যান সাজেক ইউপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দয়াধন চাকমা(কালাকচু) মেম্বার ৪নং ওযার্ড সাজেক ইউপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুমিতা চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অন্য ৬১টি জেলার থেকে ভিন্ন, এখানে নানান জাতি গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে মিলেমিশে বসবাস করে। বৈসাবি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের প্রধান সামাজিক উৎসব। এদিনে আমরা পুরানো দিনের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে বড়দের আর্শীবাদ নিয়ে নতুন বছর নতুন করে শুরু করি। তাই এদিন গুলো হয় আমাদের সকলের মিলন মেলা।
তিনি আরও বলেন সাজেক ইউনিয়নের মানুষ এখন অনেক পিছিয়ে পড়া জনপদ শিক্ষা দিক্ষায় ও অবকাঠামো দিকে আমরা এখন অনেক পিছিয়ে পরা বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়া পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা, শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পিঠা উৎসব, পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী যন্ত্র সংগীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচদিন ব্যাপি এ মেলা আগামী ১৪এপ্রিল শেষ হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
অনুষ্টানে সাবেক চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা বলেন বিজু আমাদের সকলের একটি আনন্দের দিন এই দিনটিতে আমরা সকলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে দুখে আনন্দ ভাগাভাগি করি এবং আমাদের জাতীয় সাংস্কৃটি তুলে ধরার চেষ্টা করি। তিনি আরো বলেন আমাদের যে পাহাড়িদের ঐতিহ্য সংস্কৃটি রয়েছে তা যেন আমাদের ভবিষৎত প্রজম্নরা শিকতে পারে সেভাবে আমাদের চলতে হবে।
অনুষ্টানের সভাপতি সাধন কুমার বক্তব্যের শেষে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহি দুদুক,ঘিলা খেলা, নাদেং হারা সকালের অনুষ্টান শুরু হয়। অনুষ্টানে ২০ টি খেলাধুলার আয়োজন করেছে বলে আয়োজকরা বলেছেন।