শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
spot_img

দেশে চা উৎপাদনে শীর্ষে মৌলভীবাজার জেলা

দেশে চা উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার জেলা। চা উৎপাদনে মৌলভীবাজার জেলার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশে সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন করে মৌলভীবাজার জেলা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ড সুত্র জানায়, ২০২২ সালে দেশে ৯৩.৮৩ মিলিয়ন কেজি অর্থাৎ ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ১৬২ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪৮ লাখ ১ হাজার ১০৩ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়।

দেশে চা উৎপাদনে ২০২২ সালে ২য় অবস্হানে স্থান করে নিয়েছে পঞ্চগড় জেলা। গত বছর (২০২২) পঞ্চগড়ে চা উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৩৮ কেজি। এছাড়া ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭২ কেজি চা উৎপাদন করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে হবিগঞ্জ জেলা।

এছাড়াও চট্টগ্রামে ১ কোটি ১০ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৪ কেজি, সিলেটে ৫৪ লাখ ১০ হাজার ৭২৪ কেজি, রাঙামটি জেলায় ৫৯ হাজার ১০৫ কেজি এবং বান্দরবানে ৭ হাজার ২৮৪ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। দেশে গড় চা উৎপাদনের পরিমান প্রতি হেক্টরে ১৬৪০ কেজি।

চা বোর্ডের তথ্যমতে এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলা চা উৎপাদনে দেশে শীর্ষে অবস্থান করছে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) সুত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ১৬৮টি চা-বাগান রয়েছে। তন্মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় সর্বাধিক ৯০টি, হবিগঞ্জে ২৫টি, চট্টগ্রামে ২৩টি, সিলেটে ১৯টি, পঞ্চগড়ে ৮টি, রাঙামাটিতে ২টি এবং ঠাঁকুরগাওয়ে ১টি চা-বাগান রয়েছে। দেশে বর্তমানে চা বাগানের নার্সারিসহ মোট চা চাষাধীন জমির পরিমান ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৩ একর। চা-বাগানে ভবিষ্যতে রোপনযোগ্য জমির পরিমান ১৭ হাজার ৭৯ একর।

বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের শ্রীমঙ্গলে বছরব্যাপী পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় এখানে চা উৎপাদনও বেশি। শ্রীমঙ্গলে রয়েছে ছোট-বড়, ফাঁড়ি বাগান মিলে ৪৪টি চা-বাগান। প্রতি বছরই এসব চা-বাগানের পরিধি বাড়ছে। তাছাড়া শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় এখানে চা উৎপাদনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছেন চা বাগান মালিক ও চা বোর্ড।

চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে ১০ কোটি কেজি চায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও উৎপাদন হয়েছে কিছুটা কম অর্থাৎ উৎপাদন হয়েছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজি। তবে চলতি বছর চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রাসহ আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে করছে চা বোর্ড ও চা শিল্প সংশ্লিষ্টরা।

আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ