বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে সুন্দরবনে সকল প্রকার মৎস্য আহরণে ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ বনজীবী প্রবেশও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবার। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট ২০২৩ দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত সুন্দরবনে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এ সময়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ, হরিণ, ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও ২৯১ প্রজাতির মৎস্য সম্পদের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতেই এই সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জানান, এ বনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটরের মধ্যে বর্তমানে ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দুই লাখ হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। এই বিশ্ব ম্যানগ্রভের ৩টি এলাকাকে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যরিটেজ সাইড ঘোষনা করে। সুন্দরবনে ১৮৭৪ বর্গ কিলোমিটার জলভাগে রয়েছে কুমির, ৬ প্রজাতির ডলফিনসহ ২৯১ প্রজাতির মাছ।
সুন্দরবনের সুবিশাল জলভাগ বিশ্বের বৃহৎ জলাভূমি রামসার এলাকা হিসেবেও স্বীকৃত পেয়েছে। জীববেচিত্র্যে ভরপুর হওয়ার কারণে বন বিভাগ সুন্দরবনের প্রতি বছরই দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের প্রবেশে বন্ধ ও মৎস্য সম্পদ আহরণে নিষেধাজ্ঞার জারি করে থাকে।
তারই অংশ হিসেবে এবার সুন্দরবনে মাছের প্রজনন মৌসুমে ২০ মে মধ্যরাত থেকে মৎস্য আহরণে ১০৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ।
এসব নিষেধাজ্ঞা সফল করতে কঠোরভাবে কাজ করে যাচ্ছে বন বিভাগ। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে সুন্দরবনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণসহ ও মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।