যশোরের শার্শার দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামে আদালতে মামলাকৃত জমির উপর বিজ্ঞ আদালতের ১৪৪ ধারা জারিকৃত জমিতে স্থাপনা নির্মাণে বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘর নির্মান করছেন প্রতিপক্ষ। বুরুজবাগানের স্থানীয় নার্সারী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান প্রতিবেশি আমজাদ হোসেনের ছেলে ভ্যান চালক নাজিম উদ্দিন ও আজিম উদ্দিন এর পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে এ নির্মান কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে বুরুজবাগান গ্রামের হতদরিদ্র আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে ভ্যান চালক নাজিম উদ্দিন ও আজিম উদ্দিন তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর বসবাস করে আসছে। বসবাসকৃত জমি নিয়ে প্রতিবেশি মিজানুর রহমানের সাথে আদালতে মামলা চলছে। যা বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় মামলাকৃত জমিতে যাহাতে প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান ইমারত নির্মান করতে না পারে তার জন্য নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাকৃত ঐ জমিতে আদালত থেকে ১৪৪ ধারা হুকুম জারী করে।
অতঃপর বিজ্ঞ আদালতের ১৪৪ ধারা জারি করা সত্বেও এবং স্থাপনা নির্মাণে বিধিনিষেধ থাকলেও তা অমান্য করে প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান উক্ত জমিতে ঘর নির্মান করছেন । এ অবস্থায় নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে অন্যকেহ যাহাতে দকল করে ঘর নির্মান করতে না পারে তার জন্য জমির প্রকৃত মালিক আমজেদ হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দিন ও আজিম উদ্দিন শার্শা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ অদ্য কোন আইগত ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান ভুক্ত ভোগিরা।যে কারনে স্থানীয় থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, বিবাদী মিজানুর রহমান ও বাদী নাজিমের সাথে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও মামলা চলে আসছে। মামলাটি যশোর বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত মামলাকৃত জমির উপর বিধিনিষেধ প্রদান করলেও আইন অমান্য করে উক্ত সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষ বিবাদী মিজানুর রহমান। এ ছাড়া বিবাদী মামলাকৃত ঐ সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখল করে বাড়ী নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন বলে অভিযোগে জানাগেছে। অভিযোগে আরও জানাগেছে, মামলাকৃত জমিতে ঘর নির্মান কাজে বাধা দিলে বিবাদী বাদীপক্ষকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে এবং অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান নাজিম উদ্দিন ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিবাদী মিজানুর রহমান জানান, নাজিম উদ্দিনের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। যা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি বলেন জমিতে ১৪৪ ধারা আছে কিনা তিনি জানেন না। তিনি বলেন স্থানীয় নাভারন সার্কের অফিস থেকে পুলিশ তাকে মামলাকৃত জমিতে ঘর নির্মানের জন্য বলেছেন। তাই তিনি উকাত মামলাকৃত জমিতে ঘর নির্মান করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। যা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।