আবারও আলোচনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন। আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে কুপিয়ে আহত করেছেন তার দলের সদস্যরা। মামুনের পরিবার বলছে, কারাগারে থাকতেই হুমকি দিয়েছিলো ইমন। এদিকে, মামুনের ওপর হামলার সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ভুবন চন্দ্র শীল নামে এক আইনজীবী। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল (সোমবার) রাতে রাজধানীর একটি বার থেকে বেরিয়ে মাইক্রোবাসে করে নিজ বাসায় ফিরছিলেন মামুন। রাত সাড়ে ৯টায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা পৌঁছলে মোটরসাইকেলে এসে তাকে ঘিরে ধরে সন্ত্রাসীরা। চালায় গুলি। মদ্যপ অবস্থায় কিছু না বুঝেই গাড়ি থেকে নেমে হামলাকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন তিনি। তবে নামার পর অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আরও তীব্র হয় আক্রমণ। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয় মামুনকে।
এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। একজন আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীল, অপরজন পথচারী আরিফুল হক। আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারের দাবি, বাড়ি ফেরার পথে শিল্পাঞ্চল থানাধীন সিটি পেট্রোল পাম্প এবং বিজি প্রেসের মাঝামাঝি রাস্তায় পৌঁছালে এলোপাতাড়ি গুলি তার মাথায় এসে লাগে। এতে গুরুতর আহত হন ভুবন।
ফেরার সময় মামুনকে ঘিরে ধরে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা।
পরিবারের এক সদস্য বলেন, যে বাইকে ভবন চন্দ্র ফিরছিলেন তার চালক জানিয়েছেন, হঠাৎ করে বিকট একটা আওয়াজ হলো। তারপর উনি (ভুবন চন্দ্র) আমার পিঠে মাথা রেখে শুয়ে পড়লেন।
পরিবারের আরেক সদস্য বলেন, উনার মাথায় কিছু স্প্রিন্টার পাওয়া গেছে। একটা স্প্রিন্টার কপাল দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে গেছে। আরেকটা এখনো ভেতরে আছে।
তবে কে এই মামুন? কেনই বা হঠাৎ তার ওপর এই হামলা? পুলিশ জানায়, সাধারণ কেউ নয়। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে জড়িত শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। ২০ বছর কারাভোগ করে সম্প্রতি বের হন জামিনে। তবে বিধি-বাম, এবার হাজিরা দিতে আদালতে গেলে বাঁধে গণ্ডগোল। এক পর্যায়ে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন তাকে হত্যার হুমকি দেন। গতকাল রাতে পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছে আহত মামুন নিজেই। ডিবির ধারণা, শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, এই মামুনের পুরো নাম তারিক সাঈদ মামুন। তিনি চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। এই মামলায় প্রায় ২০ বছর কারাভোগের পর জামিনে বের হন তিনি। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনও সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। ইমন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ইমন তো বাইরে না। জেলে থাকা অবস্থায় মামুনকে হুমকি দিয়েছিলেন ইমন। ধারণা করা হচ্ছে- ইমনের লোকজন মামুনের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সবকিছুই আসবে।