সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার কাউন্সিলর মো: মাহবুবুল আজাদ তারেক সরকারের উপর মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি ফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেলকুচি উপজেলা স্থানীয় সরকার জন প্রতিনিধি ফোরামের সাধারন সম্পাদক সোনিয়া সবুর আকন্দ।
বক্তব্যে তিনি বলেন, বেশ ক’বছর বেলকুচিতে ধরেই ঘুমোট পরিবেশ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সর্মথকরা তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে জন প্রতিনিধির উপরে হামলা করে। রাতেই আহত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ তারেককে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা আরো অবিযোগ করে জানান, আহত তারেকের পক্ষে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা না নিয়ে উল্টো তারেক সরকারের বাড়িতেই তল্লাশীর নামে তাদের হয়রানী করছে। পূর্বেও বিভিন্ন ঘটনায় ঘটনার বাদীদের হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে। একই সাথে তারা আরো বলেন, বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটা সময় মন্ডল গ্রুপে চাকরী করার সুবাদে স্থানীয় সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন। এবং সে কারনেই তিনি পক্ষপাত দোষে দুষ্ট। অবিলম্বে হামলাকারীদের আটক করে আইনের আওতায় না নিয়ে এলে স্থানীয় সরকার জন প্রতিনিধি ফোরাম আগামী, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও কলম বিরতির কর্মসূচী দেবেন বলেও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল, পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, স্থানীয় সরকার জন প্রতিনিধি ফোরামের সভাপতি ও বড়ধুল ইউপি চেয়ারম্যান আছের উদ্দিন মোল্লা, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান লাজুক বিশ্বাস, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা মোঃ সোলায়মান হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইকবাল রানা, ধুকুরিয়াবেড়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাসমত আলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে বেলকুচি থানার অফিসার ইসচার্জ আসলাম হোসেন বলেন, কাউন্সেলরের উপর হামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়েছি এখনো পুলিশ সেখানে মোতায়েন করে রেখেছি। তবে কাউন্সেলর বা তার পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ দাখিল করলে আমি সকল প্রকার ব্যবস্থা নেবো। আর তার বাড়ীতে তল্লাশীর বিষয়ে যে অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। আমি বা আমার কোন পুলিশ কাউন্সেলরের বাড়ীতে তল্লাসী করিনি। তবে অন্য কেউ করেছে কি না আমি জানিনা।