বাংলাদেশ কিসের জন্য বিখ্যাত
পৃথিবী তার পর্যায়ক্রমিক পরবর্তনের কারনে ধ্বংস করছে অনেক অঞ্চল আবার গড়ছে অনেক নয়নাভিরাম প্রকৃতিক পরিবেশ। পানি কখোন বাড়াচ্ছে তার উচ্চতা আর স্রোতধারার গতি কখোনবা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করে ভাসিয়ে নিচ্ছে মানব বসতির আবাস।
২০৬ টি দেশের সীমানায় ঘেড়া এই বিশ্বের নেতৃত্ব এখন কার হাতে সেই প্রশ্নটা অবান্তর। কারন প্রতিটি দেশই নিজ নিজ সক্ষমতায় নিজের পায়ে দাড়াতে চায়। এদের মধ্যে ১৯৩টি দেশ জাতিসংঘের সদস্য, ২টি দেশ পর্যবেক্ষক। বাকি থাকা ১১টি দেশ এখোন জাতিসংঘের সদস্য নয়। তাহলে বলা যায় জাতি ও বর্ণ ভেদে প্রতিটি দেশই তাদের পরিচয়ের পাশাপাশি যোগ্যতারও প্রমান দিয়েছে।
প্রতিটি দেশই কম বেশি কোন না কোন কারনে নিজেদের দেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরেছে বিশ্ববাসির কাছে। নিজেদের মাঝে সাফল্যের শীর্ষে ওঠার প্রতিযোগিতায় সবাই হয়েছে প্রতিযোগি। আর সে ক্ষেত্রে স্বেতাঙ্গ-কিষ্ণাঙ্গের ভেদাভেদ এখন আর কারো চোখেই পড়েনা। কারন পৃথিবী নিজেই তার নিজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কখোন একূল ভাঙছে কখোন সেকূল গড়ছে। সে ক্ষেত্রে বলা যায় ঘড়ির পেন্ডুলামের মতোই দোদুল্যমান পৃথিবীর প্রকৃতি কখোন কাকে ছায়া দেবে সেটা ভাবান্তরের বাহিরে। তবুও আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের সহায়তায় ধারনা করেত পারি যে কোন দেশে, কি বিপদ, কতো সময়ের ভেতরে আসতে পারে।
নিজের দেশকে (বাংলাদেশ) বিশ্ববাসির কাছে চিনিয়ে দিতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দেলনই যথেষ্ট। সংগ্রাম হয়েছিল ভাষার জন্য, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের জন্য নয়। এমন ভালবাসা আর আত্নত্যাগ কোন জাতিই দেখাতে পারেনি। সেই সুবাদেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে গোটা বিশ্বের মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
১৩০০ বছরের পুরনো ভাষা এই বাংলা ভাষা। এই ভাষার লিপি হল বাংলা লিপি। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে এই ভাষা প্রচলিত আছে। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পূর্ব বাংলায় সংগঠিত বাংলা ভাষার আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রীরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষাকরণের দাবিতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। যা বিশ্বের ইতিহাতে অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সেই থেকে বাংলা মোদের মাতৃভাষা।
মাতৃভাষীর সংখ্যানুসারে বাংলা ভাষার স্থান ৫ম। প্রথম স্থান অর্জন করে আছে চীন।
৭ টি মহাদেশে বিভক্ত এই বিশ্ব, এগুলো নিম্নরুপ-.
ক) এশিয়া মহাদেশ (Asia)
খ) ইউরোপ মহাদেশ (Urope)
গ) আফ্রিকা মহাদেশ (Africa)
ঘ) উত্তর আমেরিকা মহাদেশ (North America)
ঙ) দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ (South America)
চ) অস্ট্রেলিয়া/ওশেনিয়া মহাদেশ (Australia)
ছ) এন্টার্কটিকা মহদেশ (Antarctica)
সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে ভাষার চেয়ে অনন্য আর কিছুই নেই। এই বাংলা আমার প্রাণের ভাষা, এই বাংলায় আমি মিটাই আশা।
আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়লেন তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। নিউসিজন২৪ডটকমের পক্ষ থেকে আমন্ত্রন রইলো নিয়মিত আমাদের সাইট ভিজিট করার। পাঠক চাহিদাই লেখকের সফলতা।