বুধবার, অক্টোবর ২, ২০২৪
spot_img

রাস্তায় ক্যামেরা, হিজাব না পড়লেই আইনি ব্যবস্থা

নারীদের হিজাব পড়তে একপ্রকার বাধ্য করার কৌশল হিসেবে এবার পাবলিক প্লেসে ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। আরও জানা যায়, ইরানি কর্তৃপক্ষ দেশটির পাবলিক প্লেস এবং রাস্তাঘাটেও ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে হিজাব না পরা নারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া আরও সহজ হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

বার্তাসংস্থা এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে প্রকাশ, দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ‘হিজাব আইনের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করা’। এই ধরণের প্রতিরোধ দেশের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করে এবং নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে দেয়।

গত সেপ্টেম্বরে পুলিশের হেফাজতে ২২ বছর বয়সী এক কুর্দি মহিলার মৃত্যুর পর থেকে বিপুল সংখ্যক ইরানি নারী তাদের পর্দা সরিয়ে নিচ্ছেন। হিজাবের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহসা আমিনিকে আটক করা হয়েছিল। এরপরও বাধ্যতামূলক এই পোষাক না পরে গ্রেপ্তারের ঝুঁকি নিয়ে মহিলারা দেশের শপিং মল, রেস্তোঁরা, দোকান এবং রাস্তায় ব্যাপকভাবে চলাফেরা করছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে ব্যবসায়ীদেরকে, তাদের কাজের সাথে সাথে সামাজিক নিয়মগুলোকে গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরে আরোপিত ইরানের ইসলামি শরিয়া আইনের অধীনে, মহিলারা তাদের চুল ঢেকে রাখতে এবং লম্বা, ঢিলেঢালা পোশাক পরতে বাধ্য। যারা আইন মানেনি তারা জনসাধারণের তিরস্কার, জরিমানা বা গ্রেপ্তারের সম্মুখীন হয়েছে।

পর্দাকে ‘ইরানী জাতির সভ্যতার ভিত্তিগুলোর একটি’ এবং ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ব্যবহারিক নীতিগুলোর একটি’ হিসেবে বর্ণনা করে হয়েছে। গত ৩০ শে মার্চ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে তারা পিছু হটবে না।

এই সিদ্ধান্ত দেশটির নাগরিকদেরকে হিজার না পরা নারীদের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই ধরণের নির্দেশনা গত কয়েক দশক ধরে কট্টরপন্থীদেরকে নারীদের ওপর আক্রমণ করতে উৎসাহিত করেছে।

আরো খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ